নিজস্ব প্রতিবেদক :: যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে মন্তব্যের জেরে চকরিয়ায় নুরুল হুদা হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. সোহায়েতকে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭। গ্রেপ্তার সোহায়েত কক্সবাজারের চকরিয়া থানার মগনামার মো. নুরুল আজিজের ছেলে।
বুধবার (২৩ মার্চ) গভীর রাত আড়াইটায় চকরিয়া থানাধীন মগনামাপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার।
তিনি জানান, ২০১৬ সালের ৩০ জুন চকরিয়া থানার বদরখালী এলাকার একটি চায়ের দোকানে জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ার খবর সম্প্রচার হচ্ছিল। সংবাদ দেখে বদরখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হুদা বলেন,‘এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর একে একে সব রাজাকারের ফাঁসি দিচ্ছে।’এসময় চা দোকানে থাকা নুরুল হুদার আপন ভাতিজাসহ স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতিকারী নুরুল হুদার কথায় ক্ষিপ্ত হন। পরে নুরুল হুদাকে চা দোকান থেকে অপহরণ করে কক্সবাজার জেলার বদরখালী ইউনিয়নের ঠুটিয়াখালীপাড়া ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে গলাকেটে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে শাহজাহান বাদী হয়ে ওই বছরের ৩ জুলাই পাঁচ জনকে আসামি করে চকরিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলায় ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ এবং তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ১৮ নভেম্বর চকরিয়া থানা পুলিশ পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্র ও সকল সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক গত চলতি বছরের ৬ মার্চ মামলার পাঁচজন আসামির মধ্যে তিন জনকে মৃত্যুদণ্ড ও এক জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় একজনকে খালাস প্রদান করেন। এ রায়ে যাবজ্জীবন সাজা হওয়া আসামি মো. সোহায়েত পলাতক ছিল।
তিনি আরও জানান, গতকাল বুধবার (২৩ মার্চ) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বুধবার রাতে চকরিয়া থানাধীন মগনামাপাড়া এলাকায় অভিযানে যায় র্যাব। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর সময় সোহায়েতকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার সোহায়েতকে চকরিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত: